আলমগীর মানিক: রাঙামাটিতে বিগত বছরগুলোর ন্যায় পাহাড় ধ্বসে আর কোনো প্রাণহানির ঘটনা যাতে নাঘটে সেই লক্ষ্যে স্থান তথা পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারি বাসিন্দাদের আগামী বর্ষায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় নিজেদের জান-মাল রক্ষায় সার্বিকভাবে সচেতন করতে অব্যাহত কাজ করে যাচ্ছে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ।
ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন সময়ে সভা-সেমিনার, বৈঠকসহ এলাকায় এলাকায় স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদেরকে প্রাকৃতিক দূর্যোগ মোকাবেলায় নিজেদের জানমাল রক্ষায় নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যাওয়াসহ ঝুকিপূর্ন এলাকায় স্থানীয় স্থাপনা নির্মাণ থেকে সরে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন রাঙামাটির জেলা প্রশাসক একে এম মামুনুর রশিদ।
তারই ধারাবাহিকতায় প্রাকৃতিক দুযোর্গ ও পাহাড় ধব্বস মোকাবেলায় পুর্ব প্রস্তুতি হিসেবে রাঙামাটি জেলা প্রশাসন সচেতনতামুলক সভা করেছে। এসময় জেলা প্রশাসক একেএম মামুনুর রশীদ দূর্যোগ দেখলেই ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সকলকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে অনুরোধ জানিয়ে বলেছেন, আবহাওয়া সংকেত এবং ভারী বৃষ্টি হলে আপনারা ঝুকিপুর্ণ এলাকায় থাকবেন না। আমরা আর কোন ধরনের প্রানহানি চাই না।
তিনি বৃহস্পতিবার (১৬ মে) বিকেলে রাঙামাটির শিমুলতলী, টিভি সেন্টার এলাকা, রূপনগর সহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারী সকল জনগনের সাথে কথা বলেন এবং ঝুকিপুর্ন এলাকা এলাকায় বসবাস না করার আহবান জানান। এসময় জেলা প্রশাসক রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহিৃত করে সেখানে সাইনবোর্ড লাগান এবং জনসচেতনতা মুলক সভা করেন।
জেলা প্রশাসকের সাথে এ সময় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক এস,এম শফি কামাল, রাঙামাটি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জুনায়েদ কবির সোহাগ, নানিয়ারচর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুদ পারভেজ তালুকদার, নেজারত ডেপুটি কালেক্টর পল্লব হোম দাশ, রাঙামাটি পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলার রবি মোহন চাকমাসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন। এসময় জেলা প্রশাসক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা গুলোর প্রতিটি বাড়ীতে বাড়ীতে গিয়ে সচেনতা মুলক লিফলেট বিতরণ করেন।
পরে জেলা প্রশাসক সাংবাদিকদের বলেন, এলাকার জনগন একটু সচেতন হলে আমরা দূর্যোগ থেকে রক্ষা পাবো। আগামী বর্ষা মৌসুমে ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। ২০১৭ সালের কথা মাথায় রেখে আমাদের সকলকে নিরাপদে থাকতে হবে। নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে হবে। ২০১৭ সালের মতো রাঙামাটিতে আর কোন দূর্যোগে আমরা একটি প্রাণও হারাতে চায় না। ২০১৮ সনে পুর্ব প্রস্তুতি থাকায় আমাদের তেমন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি।
Leave a Reply
You must be logged in to post a comment.